আগামী মাসের মধ্যে মার্কিন কূটনীতিকদের রাশিয়া ছাড়তে নিদের্শ

প্রকাশিত: ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০১৭

আগামী মাসের মধ্যে মার্কিন কূটনীতিকদের রাশিয়া ছাড়তে নিদের্শ

নিউ সিলেট ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ৭৫৫ জন কূটনীতিককে রাশিয়া ছেড়ে যেতে নিদের্শ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই মার্কিন কূটনীতিকদের রাশিয়া ছেড়ে যেতে হবে। কূটনীতিক প্রত্যাহারের এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। তিনি বলেন, রাশিয়ার অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী কর্মকাণ্ড, দুবৃত্ত শাসকদের জন্য সমর্থন, ইউক্রেনে রুশ কর্মকাণ্ড এগুলো যে গ্রহণযোগ্য নয় এই বিষয়টি আমাদের প্রেসিডেন্ট খুব স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। প্রেসিডেন্ট এটিও স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি খুব দ্রুতই অবরোধ আরোপের বিলে স্বাক্ষর করবেন। পাশাপাশি আমরা এটাও স্পষ্ট করতে চাই যে, রাশিয়া তার আচরণ পাল্টাবে, এটা আমরা আশা করি।
২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার প্রভাব খাটানোর চেষ্টার অভিযোগের পর থেকে ওয়াশিংটন-মস্কো সম্পর্কে টানাপড়েনের শুরু। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নির্দেশে মার্কিন প্রশাসন মেরিল্যান্ড ও লং আইল্যান্ডে দুইটি রুশ কূটনৈতিক ভবনের দখল নেয়। সম্প্রতি রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারিতে সায় দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস। এরই পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে দেশে মার্কিন কূটনীতিক কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় মস্কো। শুক্রবার মস্কোতে একটি গুদাম ও মস্কো নদীর তীরে একটি জায়গায় মার্কিন কূটনীতিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে রুশ সরকার। সেই সঙ্গে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন কূটনীতিকদের সংখ্যা কমিয়ে ৪৫৫ জন করার দাবি জানায়। যুক্তরাষ্ট্রে এখন ৪৫৫ জন রুশ কূটনীতিক কাজ করেন।
এক টিভি সাক্ষাৎকারে পুতিন জানান, মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোতে এখনও হাজারের বেশি কর্মী রয়েছেন। ৭৫৫ জন মার্কিন কূটনীতিককে রাশিয়া ছাড়তে হবে। আমরা ভেবেছিলাম রুশ-মার্কিন সম্পর্কে পরিবর্তন হবে। কিন্তু এখন বুঝেছি পরিবর্তন হলেও অনেক সময় লাগবে। আধুনিক কূটনীতির ইতিহাসে এতো বিরাট সংখ্যক মানুষকে একসঙ্গে বহিষ্কারের ঘটনা আর ঘটেনি। ৭৫৫ জনকে একসঙ্গে বহিষ্কারাদেশ দেওয়ায় মস্কোর দূতাবাসে থাকা কর্মীসহ একেতারিনবার্গ, ভ্লাডিভোস্টক ও সেন্ট পিটার্সবার্গ কনস্যুলেটরের কর্মীরা সমস্যায় পড়তে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বস্তুত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জেতাতেই মস্কো মার্কিন নির্বাচনে নাক গলিয়েছিল বলে অভিযোগ। ফলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি যে ট্রাম্পের বিশেষ পছন্দ নয়, সেটা অজানা কিছু নয়। কিন্তু মার্কিন কংগ্রেসেই এখন ওই রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্ত চলছে। কংগ্রেসের বড় অংশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেওয়ার পক্ষপাতী। এই পরিস্থিতিতে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব সমর্থন করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। ফলে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্ব বাড়ছে।dt/ns/-



This post has been seen 381 times.

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮