সিলেট ১লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২রা শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৩, ২০১৭
নিউ সিলেট ডেস্ক : ভারতের উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে গত চারদিনে অক্সিজেনের অভাবে ৬৪ শিশুর মৃত্যুতে বিআরডি হাসপাতাল কলেজের অধ্যক্ষ রাজীব মিশ্রকে বরখাস্ত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থনাথ সিং।
অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালের অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলেই এতো শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যদিও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, সকলেই বলে চলেছেন, অক্সিজেন সঙ্কটে নয়, মৃত্যু হয়েছে রোগে।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নিজের কেন্দ্র গোরক্ষপুরের বিআরডি মেডিকেল কলেজের শিশুমৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতি। মুখ খুলেছেন মায়াবতী। প্রবল চাপের মুখে তড়িঘড়ি অধ্যক্ষ রাজীব মিশ্রকে বরখাস্ত করেন সিদ্ধার্থনাথ। তিনি বলেন, যাই ঘটে থাকুক না কেন, চিকিৎসার গাফিলতি তো রয়েইছে। দোষীদের কড়া শাস্তি হবে।
তবে রাজীবের দাবি, শিশুমৃত্যুর দায় নিয়ে তিনি নিজেই পদত্যাগ করেছেন।
হাসপাতাল কর্মীরা জানালেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে হাসপাতালের অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহকারী বেসরকারি সংস্থাটির দাবি, ৬৩ লাখ ৬৫ হাজার রুপির সিলিন্ডার কিনে মাত্র ৩৫ হাজার রুপি ঋণ পরিশোধ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বকেয়া না মেটালে অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব হবে না, সেই হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছিল। ১ আগস্ট চিঠি দিয়ে শেষ বারের মতো বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়েছিল সংস্থাটি।
অক্সিজেন সরবরাহের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালের চিফ মেডিকেল অফিসারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, মজুত অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রায় শেষ। রোগীদের বাঁচাতে হলে কিছু একটা ব্যবস্থা করতেই হবে। এক সপ্তাহ আগেও চিঠি দিয়ে অক্সিজেনের অভাবের কথা জানানো হয় ওই কর্তাকে। কিন্তু জবাব না মেলায় আবার অনুরোধ করা হয় ওই দিন। বৃহস্পতিবার রাত থেকে ট্রমা সেন্টার, এনসেফ্যালাইটিস ওয়ার্ড ও নবজাতকের আইসিইউ সর্বত্র অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ঘণ্টায় ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত ৪৭৬ জন এনসেফ্যালাইটিস নিয়ে ভর্তি হয়েছিল বিআরডি হাসপাতালে। এদের মধ্যে ১১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।dt/ns/-
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ |
৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ |
১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ |
২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |
EDITOR & PUBLISHER:
JUMAN AHMED
OFFICE : 4/4 SURMA MARKET
SYLHET
EMAIL:newsylhet2016@gmail.com
WEB:www.sylheterkhobor.com
MOB:01712-298815
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি