রোহিঙ্গা সংকট সু চিতেই সমাধান : ড. মুহাম্মদ ইউনূস

প্রকাশিত: ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৭

রোহিঙ্গা সংকট সু চিতেই সমাধান : ড. মুহাম্মদ ইউনূস

নিউ সিলেট ডেস্ক : চলমান রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র সমাধান দেশটির নেত্রী অং সান সু চির হাতে রয়েছেন বলে মনে করেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, সু চি বর্তমানে ঘৃণার পরিবেশে আবদ্ধ হয়ে আছেন। এই সমস্যা সমাধানের চাবিকাঠি যেহেতু একমাত্র তারই হাতে, তাই তাকে এই পরিবেশ থেকে বের হয়ে এসে সংকট সমাধানে ভূমিকা রাখতে হবে। তবে সু চিকে সামনে রেখে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইন প্রদেশে অভিযান চালাচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি।
গেল ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা জঙ্গিরা রাখাইনে কয়েকটি পুলিশ চেক পোস্টে হামলা চালায়। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর ১২ সদস্য নিহত হন। এরপরই নৃশংশ অভিযানে নামে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। ওই অভিযান শুরুর পর জীবন বাঁচাতে প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে ঢুকেছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাবে অভিযান শুরুর পর অন্তত ৩ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিমকে হত্যা করা হয়েছে। রাখাইনে সাংবাদিক প্রবেশে কড়াকড়ি থাকায় নির্মম এ নির্যাতনের খবর মূলত পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে। পালিয়ে আসা এ রোহিঙ্গারা বলছেন, সেখানে তাদের ঘরবাড়ি পর্যন্ত পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাতকারে বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী ড. ইউনূস বলেন, তিনি (অং সান সু চি) মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলেছেন। সেজন্য তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়েছিল। তাকে শান্তির দূত হিসাবে পূর্বের ভূমিকায় ফিরে যেতে হবে। আমার ধারণা, তার মধ্যে শান্তির বিষয়টি এখনও আছে, কিন্তু তিনি ঘৃণার পরিবেশ দ্বারা জড়িয়ে আছেন। ক্ষমতায় যাওয়ার আগে সু চি ও পরের সু চির মধ্যে বিস্তর পার্থক্য আছে বলেও মনে করেন ইউনুস।
সু চির উদ্দেশে ইউনূস বলেন, আপনি ভেবে দেখুন, আপনি কে? আপনি কি এই ভূমিকা চালিয়ে যেতে চান? যদি সেটাই হয়, তাহলে আপনি অতীতে পুরো পৃথিবীকে ধোঁকা দিয়েছেন। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিলেও, তাদের আরও কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও পরামর্শ দেন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নোবেলবিজয়ী।n24/ns/-



This post has been seen 238 times.

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১