সিলেট ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৪১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭
নিউ সিলেট ডেস্ক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ করে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) প্রধান ফিলিপো গ্র্যান্ডি। সোমবার বিকালে গুলশানের এক হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
গ্র্যান্ডি বলেন, রাখাইনে অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। সেখানে মানবিক সাহায্যদাতা সংস্থাগুলো যেন কাজ শুরু করাতে পারে, সেই ব্যবস্থা জরুরি ভিত্তিতে করতে হবে।
জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার শুরু মিয়ানমারে, সমাধানও তাদেরকে করতে হবে। রোহিঙ্গারা যেন নিরাপদে তাদের দেশে ফেরত যেতে পারে, সে ব্যবস্থা মিয়ানমারকেই করতে হবে।
রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণ নাগরিকত্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব নিয়ে সমস্যার সমাধান মিয়ানমারকে করতে হবে।
গত শুক্রবার ফিলিপো গ্র্যান্ডি তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন। গত দুই দিন কক্সবাজারে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলো পরিদর্শন করেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর বর্তমান অবস্থা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত চার লাখ ৩৬ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। সেখানে রোহিঙ্গাদের থাকার জায়গা, পানি, স্যানিটেশন ও খাদ্যের প্রয়োজন।
কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট বিষয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের বিষয়ে সেখানে বলা হয়েছে।
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ অঞ্চল গড়ে তোলা প্রসঙ্গে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা প্রধান বলেন, এই নিরাপদ অঞ্চলে কে সুরক্ষা দেবে, সেটি বিবেচনার বিষয়। মিয়ানমারের দায়িত্ব হচ্ছে, তার নাগরিকদের সুরক্ষা দেয়া। তারা না দিলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি এই সুরক্ষা দিতে হয়, তাহলে সেটি হবে একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া।
রোহিঙ্গাদের নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারকে এ বিষয়ে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা।
মিয়ানমারে এখন কতজন রোহিঙ্গা আছে, তা জানেন না উল্লেখ করে ফিলিপো বলেন, জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা রাখাইনে কাজ করছে, কিন্তু নিরাপত্তার অভাবে তাদের কার্যক্রম খুবই সীমিত।
গতকাল শনিবার কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ের শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে ফিলিপো গ্র্যান্ডি বলেছিলেন, আমি সত্যিই খুব মর্মাহত। রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সরকার ভয়ানক সহিংসতা চালিয়েছে। বাংলাদেশে যারা আশ্রয় নিয়েছে, তাদের এখন জরুরি ভিত্তিতে খাবার, চিকিৎসাসহ মৌলিক সাহায্য দরকার।
ফিলিপো গ্র্যান্ডি বলেন, ‘রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ, বাবা-মা খুন, পরিবারহারা, নির্যাতনে আহত অবস্থায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে রোহিঙ্গারা। এই সহিংসতার ক্ষত কাটিয়ে উঠতে রোহিঙ্গাদের অনেক সময় লাগবে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গত ২৫ আগস্ট সহিংসতা শুরুর পর বাংলাদেশ সীমান্তে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। ২৫ আগস্ট রাতে এআরএসএ-র বিদ্রোহীরা পশ্চিম রাখাইনে প্রায় ৩০টি পুলিশ ফাঁড়ি ও সেনাবাহিনীর শিবিরের ওপর একযোগে হামলা চালিয়ে সরকারি বাহিনীর ১২ জনকে হত্যা করেছে বলে দাবি করে মিয়ানমার। এ ঘটনার পর থেকেই দেশটির রাখাইন রাজ্যে নতুন করে সহিংসতা শুরু হয়, রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী। বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের সরকারের দাবি, অভিযানে চারশরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে যাদের অধিকাংশই বিদ্রোহী। কিন্তু প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গার বাংলাদেশে প্রবেশে সহিংসতার মাত্রা যে আরও অনেক ব্যাপক তা টের পাওয়া যায়। পালিয়ে আসা এসব রোহিঙ্গা শরণার্থীরা মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও বৌদ্ধ বেসামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে হত্যা, খুন, ধর্ষণ, লুটপাট ও বাড়িঘর-দোকানপাটে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ করে। সহিংসতা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে চার লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে।dt/ns/-
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
EDITOR & PUBLISHER:
JUMAN AHMED
OFFICE : 4/4 SURMA MARKET
SYLHET
EMAIL:newsylhet2016@gmail.com
WEB:www.sylheterkhobor.com
MOB:01712-298815
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি