স্বাধীনতা আদায়ে কুর্দিদের গণভোট অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ১:০৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৭

স্বাধীনতা আদায়ে কুর্দিদের গণভোট অনুষ্ঠিত

নিউ সিলেট ডেস্ক : প্রতিবেশী দেশ সমূহের হুমকি ও কেন্দ্রীয় সরকারের নিষেধ উপেক্ষা করে ইরাকের উত্তরাঞ্চলে নিজেরদের স্বাধীনতার প্রশ্নে ঐতিহাসিক গণভোট শুরু করেছে। দেশটির স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান প্রদেশে কুর্দিস্তান রিজিওনাল গভর্নমেন্টের (কেআরজি) উদ্যোগে সোমবার এ গণভোটের আয়োজন করা হয়।
এদিন স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোট থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলে। ইতিমধ্যে ভোট গণনা শুরু চলছে। ভোট গ্রহণের ৭২ ঘন্টার মধ্যেই চূড়ান্ত ফলাফল জানিয়ে দেওয়ার কথা রয়েছে। এই ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’ গণভোটে ‘হ্যাঁ’ এর জয় অবিশ্যম্ভাবী বলে মনে করছেন কুর্দিরা। ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী সব মানুষই এ গণভোটে নিজেদের মত প্রকাশ করেছে। নির্বাচন কমিশনের হিসাবে এ অঞ্চলে মোট ভোটারের সংখ্যা ৫২ লাখ। এদের মধ্যে প্রবাসী ভোটাররাও রয়েছেন।
স্বাধীনতার পক্ষে গণরায়ে স্বাধীন কুর্দিস্তান গড়তে বড় ধরনের বিজয় সূচনা হবে কুর্দিদের জন্য। এ অঞ্চলে আরেকটি স্বাধীন রাষ্ট্র গড়তে ইরাক সরকার ও প্রতিবেশী দেশসমূহের সাথে নানা আলোচনা ও দেনদরবার চালিয়ে যেতে বাধা থাকবে না কেআরজি নেতা মাসুদ বারজানির।  যদিও এ ভোট স্থগিত রেখে কুর্দি নেতৃবৃন্ধদেরকে বাগদাদ সরকারের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানানো ইরান, তুরস্ক এমনকি যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের দেশগুলোর পক্ষ্য থেকে। প্রদেশটির রাজধানী ইরবিলের এক স্কুলে একজন পুরুষ ভোটার রিজগার বলেন, আজ সব কুর্দিদের উৎসবের দিন। এই দিনটির জন্য আমরা ১০০ বছর ধরে অপেক্ষা করেছি। আমরা নিজেরদের আল্লাহর সাহায্যে আমরা নিজেদের জন্য একটি রাষ্ট্র চাই। এ ভোট বন্ধে নানামুখী চাপ থাকলেও নিজদের অধিকারের প্রশ্নে পিছপা হননি কুর্দিরা। অটোমান সাম্রাজ্যের কুর্দিবাসীদের বিশাল অঞ্চল বসবাস করা কুর্দিরা প্রায় শতবর্ষ ধরে স্বাধীনতার স্বপ্নে দেখছে। একটা সময়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে জড়িয়ে গেলেও মধ্যপ্রাচ্যের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিকমুখী পদক্ষেপে এগিয়ে আসে কুর্দি নেতৃবৃন্দ। এ অঞ্চলে আইএস জংগী গোষ্ঠী দমনে বড় ধরণের ভূমিকা রাখে তারা।
এ গণভোটের কারণে প্রতিবেশী দেশগুলো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কারণ ইরাক, ইরান, সিরিয়া ও তুরস্কের বিশাল অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে প্রায় ৩ কোটি কুর্দি। আলাদা কুর্দিস্তান স্বাধীনতাকে বড়ধরণের হুমকি হিসেবে দেখছে তারা। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ভাষণে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান স্বাধীনতা প্রশ্নে আয়োজিত এ গণভোট স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছিলে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এতে এ অঞ্চলে আরও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হবে। তিনি বাগদাদের সাথে আঞ্চলিক সরকারগুলোর সংহতিকে গুরুত্বারোপ করেন। কিন্তু নানা চাপ ও কড়া প্রতিক্রিয়া উপেক্ষা করে এ গণভোট অনুষ্ঠিত হল। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্সpb/ns/-



This post has been seen 266 times.

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১