রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারকে চাপ দিতে কানাডার বিশেষ দূত নিয়োগ

প্রকাশিত: ১২:১৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০১৭

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারকে চাপ দিতে কানাডার বিশেষ দূত নিয়োগ

নিউ সিলেট ডেস্ক : রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকেই কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো যে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সোচ্চার তার প্রমাণ আরো একবার রাখলেন তিনি। সর্বশেষ নেইপিদোর ওপর চাপ দিতে তিনি দেশটিতে বিশেষ দূত নিয়োগ দিয়েছেন। বব রায়ে নামের ওই বিশেষ দূত আগামী সপ্তাহে মিয়ানমার যাবেন। কানাডার পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য বব রায়ে।
সিবিসি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তার পরিমাণ দ্বিগুণ করে দুই কোটি মার্কিন ডলার করার ঘোষণাও দিয়েছেন ট্রুডো।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মিয়ানমারে নিরাপত্তা ও মানবিক সংকটের আশু সমাধানের লক্ষ্যে চাপ দেবেন বব রায়ে। রোহিঙ্গা মুসলিমসহ বিভিন্ন বিপন্ন জনগোষ্ঠীর বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরবেন তিনি। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দাতাসংস্থার সম্মেলনে এ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। মিয়ানমারে সহিংসতায় আক্রান্ত ও বাস্তুচ্যুত লোকজনকে কীভাবে সর্বোচ্চ সহায়তা করা যায় সে বিষয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দেবেন বব।
ট্রুডো বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানবিক ও নিরাপত্তা সংকট নিয়ে তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এক্ষেত্রে বিশেষ করে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্মম গণহত্যার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপক হামলা চালানো হচ্ছে। এটা মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং এর দায় মিয়ানমারের সেনা নেতৃত্ব ও সরকারকেই বহন করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, কানাডা কিছু শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার কথা ভাবছে।
এদিকে, বব রায়ে বলেছেন, আমি অন্যদের মতো অলৌকিক কিছু বলব না। এটি একটি ভয়াবহ মানবিক সংকট। এটি কানাডাসহ অন্যান্য দেশের উদ্বেগের বিষয়। তাই আমি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী নিরপেক্ষ তথ্যের ভিত্তিতে রিপোর্ট করব। পরে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে।
বব বলেন, সফরে তিনি পরিস্থিতির সঠিক চিত্র জানতে যতটা সম্ভব মিয়ানমার ও বাংলাদেশের বেশি সংখ্যক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলবেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনা ও নিন্দার মুখে পড়েছে মিয়ানমার। আর এই সমালোচকদের মধ্যে অন্যতম হলো কানাডা।
সেইসঙ্গে জাস্টিন ট্রুডো তো আছেনই ইতোমধ্যে কানাডার অনেক লোক মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চির সম্মানজনক নাগরিকত্ব বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। ২০০৭ সালে সু চি যখন দেশটির সামরিক জান্তার নানা নিষেধাজ্ঞা ও গৃহবন্দি ছিলেন তখন কানাডা সরকার তাকে সম্মানজনক নাগরিকত্ব দেয়।pb/ns/-



This post has been seen 246 times.

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১