রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমঝোতা স্মারক সই

প্রকাশিত: ১২:২৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৪, ২০১৭

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমঝোতা স্মারক সই

নিউ সিলেট ডেস্ক : মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নিপীড়নের মুখে প্রাণ ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকে সই করেছে মিয়ানমার। মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে দেশটির স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির সঙ্গে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর বৈঠকের পরপরই এ স্মারক সই হয়। সেখানে বাংলাদেশের পক্ষে সই করেন হাসান মাহমুদ আলী ও মিয়ানমারের পক্ষে সই করেন দেশটির স্টেট কাউন্সেলরের দপ্তরের মন্ত্রী চ টিন্ট সোয়ের।
পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সময় টেলিভিশনকে বলেছেন, এ প্রথম পদক্ষেপ, দুই দেশকে এখন পরের স্টেপে যেতে হবে। এখন কাজটা শুরু করতে হবে। সব ডিটেইল এর (সমঝোতা স্মারক) মধ্যে আছে। আমরা ঢাকায় ফিরে বিস্তারিত জানাব। তবে কবে নাগাদ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হবে সেই বিষয়ে নিশ্চিত কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিন মাসের মধ্যে ফেরত না তো, এখন যেটা হচ্ছে এই কাজটা শুরু করতে হবে। ওখানে বাড়িঘরগুলোতো জ্বালিয়ে দিয়েছে সমান করে দিয়েছে। এগুলো, বাড়িঘরতো তৈরি করতে হবে।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের শ্রম, অভিবাসন ও জনসংখ্যা বিষয় দপ্তরের পার্মানেন্ট সেক্রেটারি মিন্ট চিং বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, বাংলাদেশে ফরম (রোহিঙ্গাদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিবন্ধন ফরম) পূরণ করে আমাদের ফেরত পাঠালে যত দ্রুত সম্ভব আমরা তাদের (রোহিঙ্গা) ফিরিয়ে আনতে চাই।
মিয়ানমারের রাখাইনে গত ২৫ আগস্ট তল্লাশিচৌকিতে সন্ত্রাসী হামলার জেরে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর নৃশংসতা শুরুর পর থেকে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ৬ লাখ ২২ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের আহ্বানে আন্তর্জাতিক বিশ্ব মিয়ানমারকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশের খসড়া প্রস্তাব নিয়ে গতকাল বুধবার দুই পক্ষ দীর্ঘ আলোচনা করেছে। বিশেষ করে সমঝোতা স্মারকটির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো চূড়ান্ত না হওয়ায় এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ২০১৬ সালের অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত, নাকি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১০ লাখের সবাইকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে, ফেরত পাঠানোর আগে রোহিঙ্গাদের পরিচয় যাচাইয়ে জাতিসংঘকে রাখা না–রাখা, রাখাইনে ফেরত পাঠানোর পর রোহিঙ্গাদের কোথায় রাখা হবে। এসবের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে সময়সূচি ঠিক করে দিয়ে কাজ করা এবং এ বিষয়ে দুই দেশ সমঝোতা স্মারক সই করলে প্রত্যাবাসন নিয়ে কোনো ধরনের জটিলতা দেখা দিলে তা নিয়ে তৃতীয় কোনো দেশের সহযোগিতা চাওয়া যাবে কি না ইত্যাদি আলোচনায় এসেছে।tr24/ns/-



This post has been seen 349 times.

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১